আপনি কি জানেন? ফ্ল্যাশ মেমোরী বা পেনড্রাইভ এর ওজন কেন বাড়েনা বা কমেনা 

আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের মেমোরী ব্যবহার করে থাকি। ফ্ল্যাশ মেমোরী বা পেনড্রাইভ কিংবা হার্ডডিস্ক ইত্যাদি। আমরা প্রতিদিন মেমোরী কার্ডের মধ্যে কত কিছু যে লোড করে থাকি কিন্তু এগুলো মেমোরী কার্ডের ভিতরে যায় কোথায় ভিতরে জিনিষ ঢুকছে কিন্তু ওজন কেন বাড়ছে না? আমরা মেমোরী কার্ড যখন ফর্মেট দিলাম এর ভিতর থেকে সব ডাটা ডিলিট হয়ে গেলো কিন্তু ওজনের এক ফোটাও হেরফের হচ্ছে না!
উপরে প্রশ্নগুলো অনেকের মনে নিশ্চয়ই জেগেছে। আর আপনাদের এই প্রশ্নের চমকপ্রদ উত্তর নিয়েই আজ হাজির হয়েছি আমি।
এর ওজন
আপনারা যে দেখছেন যে চমৎকার ডিজাইনের হার্ডডিস্ক এদের ভিতর কি আসলেই বাইরে থেকে কোন ডাটা ঢুকানো যায়? এক কথায় এর উত্তর হলো ‘না’। এবার আবার প্রশ্ন আসতে পারে “আমরা যে সব গান শুনি বা মুভি দেখি এইসব কই থাকে?”। তাহলে আমার একটা কথা শুনুন, কম্পিউটার আপনার আমার মত মুভিও বুঝে না গানও বুঝে না। সে একমাত্র তার সার্কিটগুলোর মধ্যে বয়ে যাওয়া ট্রিলিয়ন সংখ্যক বিদ্যুৎ প্রবাহের হিসেব রাখতে পারে। বিদ্যুৎ থাকলে 1 আর না থাকলে 0।
তার মানে আপনি যখন গান শুনছেন সেটা আপনার কম্পিউটারের কাছে একটা বিদ্যুৎ প্রবাহে হিসেব মাত্র একটা সোর্স থেকে গানটা যখন মেমোরীতে রাখলেন তখন আপনার গানের জন্য সেটা একটি মেমোরী এড্রেস তৈরী করল অর্থাৎ আপনার গানটা হয়ে গেলো ১০০০১১০০০১০০০১০১০০১০০১০১১১০১১১০১০১০১ এরকম টাইপের কিছু সংখ্যা।
আপনি যদি গানটা ডিলেট করেন তখন কম্পিউটার যাস্ট গানের মেমোরী এড্রেসটা বদলে দেবে অর্থাৎ সে জায়গায় অন্য একটা সফটওয়্যার বা গান আনলো যার মেমোরী এড্রেস হলো ১১০০১১০১১০০১ এরকম অর্থাৎ আপনার কাছে যেটা গান সেটা কম্পিউটারের কাছে সংখ্যার খেলা। তাই কোন ডাটা কম্পিউটারে ঢুকানো মানে শুধু ১ ০ এর স্থান পরিবর্তন বা পুনর্বিন্যস্তকরণ। তাইলে তো ১ ০ গুলো হার্ডড্রাইভে আগে থেকেই আছে জাস্ট সংখ্যার স্থানগুলো পালটে দিলেই হলো। ঠিক এই কারণেই কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভ থেকে ডিলেট হয়ে যাওয়া ডাটাগুলো বিভিন্ন রিকভারী সফটওয়ারের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা যায়।
ডি এন এ D.N.A ও আধুনিক ডাটা স্টোরেজঃ
DNA এর কথা শুনেনি এমন কাওকে পাওয়া যাবে না। হাভার্ড ইন্সটিটিউটের একজন বায়োইঞ্জিনিয়ার এক গ্রাম ডিএনএ’র মধ্যে ৫.৫ পেটাবাইট (১ পেটাবাইট = ১০০০০০০ গিগাবাইট) ডাটা সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। হার্ডডিস্কের ম্যাগনেটিক বাইনারী ডাটা সংরক্ষণ ব্যবস্থার বদলে DNA এর চারটি বেস (T,G,A,C) কে ৯৬ বিট ক্যারেক্টার ধরে ব্যবহার করা হয়েছে।
এদের মধ্যে T ও G কে বাইনারী সংখ্যা পদ্ধতির ১ এবং A ও C কে বাইনারী সংখ্যা পদ্ধতির ০ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যেহেতু DNA হাজার বছর পর্যন্ত অক্ষত থাকে তাই এর নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। আশা করি ভবিষ্যতে DNA ই হবে আমাদের বিশাল নির্ভরযোগ্য ডাটাব্যাংক।

0 comments :

Post a Comment

সফিক গ্রাফিক্স
মেলান্দহ বাজার, জামালপুর।

 
How to Lose Weight at Home Top